A little break...

in CCH3 days ago

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।


হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা।
আমি @rasel72. #বাংলাদেশ থেকে।


সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি৷ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলাম আমার আরেকটা নতুন পোষ্ট নিয়ে। আজকে একটু ভ্রমণ কাহিনী আলোচনা করব৷ আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। এটা ভ্রমণের মাঝে কিছুটা বিরতির সময় নিয়ে আলোচনা। চলুন শুরু করি-

6VvuHGsoU2QBt9MXeXNdDuyd4Bmd63j7zJymDTWgdcJjo1TYGJvQ2i2Wb1VSvGfgAMndofqd63bhUP62ZCHrvm3hn3MqiA2sJJWLXqLXhjysWjbzhkT19SvBapkotS.jpeg

cover image.

আমরা সবাই প্রায় নতুন নতুন জায়গা দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। তাই তো ছুটে যায় কত শত দূর দূরান্তে নতুন প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে দিয়ে কিছুটা ক্ষণের জন্য হলেও সুখ খুজি। যেন এটাই জীবনের এক পরম শান্তি, পরম পাওয়া। যদিও আমরা ইচ্ছা করলেই আমাদের পাশে থাকা প্রকৃতির মাঝেও সুন্দর সুন্দর জিনিস উপলব্ধি করতে পারি৷ কিন্তু কয় জন আর প্রকৃতি নিয়ে ভাবি বলুন৷ সেই তো ফোন আর নেট দুনিয়ায় ডুবে থাকি। তাই তো অর্থ সময় নষ্ট করে হলেও চলে যায় আমরা ভ্রমণ করতে। আমিও মাঝে মাঝে সময় পেলে ঘুরতে চলে যায়।

গত বছরের শেষে মানে ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম নীলফামারী জেলাতে আমার এক বন্ধুর বাড়ী ঘুরতে। তাদের বাড়ীতে তিন দিন থেকে আমি নীলফামারী জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। মূলত গত বছর এডমিশনের পর মন খারাপ ছিল, মন ভালো করতেই এই ভ্রমণটা ছিল। সেখানে আমি কয়েকটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। একদিন তিস্তা ব্যারাজ দেখতে যাওয়ার জন্য আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে আমি আমার বন্ধু,ও বন্ধুর এক বাড়ীর পাশের বন্ধু।😄 বেড়িয়ে পরি ঘুরতে যাওয়ার জন্য। আমাদের যাত্রা পথ থেকে গন্তব্য স্থানের দূরত্ব ছিল প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। আমরা একটা সোজা রাস্তা দিয়ে যাওয়া শুরু করি। যাওয়ার সময় নতুন নতুন এলাকাতে নানা ধরনের জিনিস দেখতে দেখতে যাচ্ছিলাম।

1000001283.jpg

1000001288.jpg

1000001290.jpg

অনেকটা পথ যাওয়ার পর আমরা একটা ক্যানালের সামনে মোড়ে গিয়ে পৌছায়। তখন দুপুর পার হয়ছে। আমাদেরও বেশ খুদা লাগছিল। ভাবলাম এখানে নেমে কিছু খাওয়া যাক। যদিও হাতে গোনা কয়েকটা দোকান ছাড়া আর সেখানে কিছুই চোখে পরতেছিল না। কিন্তু মানুষ জন একটা দোকানে দেখলাম বেশ ভির জমিয়ে আছে। আমরাও সেখানে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি সেখানে গরম গরম পুড়ি, চপ, সিঙ্গারা পাওয়া যাচ্ছে। আমরাও সেখানে একটা টেবিলে বসে পড়ি। এরপর আমাদের তিনজনের জন্য খাবার অডার দিলাম। আমরা মূলত পুড়ি খেলাম।

1000001291.jpg

1000001293.jpg

খাওয়া শেষ করার পর আমরা তিন জনের জন্য তিনটা চায়ের অডার দিলাম। আপনাদেরকে বলে রাখি, নীলফামারী জেলাতে ঘুরতে গিয়ে আমি একটা নতুন জিনিস শিখেছি, সেটা হলো যেকোনো খাবার খাওয়ার পরই তারা চা খায়। যা আমাদের কুষ্টিয়া জেলাতে প্রচলিট না। মানুষ এমনিতেই চা খাওয়া। কিন্তু সেখানে কোনো খাবার খেলেই চা খাওয়াটা একটা রীতি। সকল দোকানেই সেখানে চা পাওয়া যায়। যাই হোক, আমরা চা খেয়ে বিলটা পরিশোধ করে আবার আমাদের যাত্রা শুরু করলাম।

আজকের এই গল্পটা ছিল বিরতি নিয়ে। যার জন্য আমি নাম দিয়েছি একটু বিরতি। আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে। আজকে এই পর্যন্তই।

সবাইকে অনেক ধন্যবাদ আজকের পোষ্টটা পড়ার জন্য।